Breaking News
Loading...
Tuesday, February 19, 2013

Info Post
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। যা শীতকালীন সর্দি, নাক বন্ধ হওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়া, গলা ব্যথা, জ্বর জ্বর ভাব, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, ঠান্ডাজনিত দুর্বলতা এই সমস্যাগুলো দূর করে।
সূর্যের রোদে ভিটামিন ‘ডি’ থাকে। তবে শীতের রোদের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। কমলালেবু ত্বককে শক্তিশালী করে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আমাদের বাঁচায়।
দাঁত, চুল, ত্বক, নখের পুষ্টি জোগায় কমলালেবু। গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এই ফল খায় তাদের দাঁতের ডেন্টাল ক্যারিজ (দাঁতের একধরনের অসুখ) হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম। তবে শুধু কমলালেবু খেলেই চলবে না, দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে নিয়মিত।
ঠোঁট ফাটা, পায়ের তলা ফেটে যাওয়া রোধ করে কমলালেবু। ত্বকের মসৃণ ভাব বজায় রাখতে এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। তাই মোটা মানুষ, হাইব্লাড প্রেসার, হূদেরাগীরা খেতে পারবেন কোনো রকম ভয় ছাড়া। তবে এতে পটাশিয়াম রয়েছে। যা কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
রক্তে চর্বির পরিমাণ কমায় এই ফল। বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রতিদিন একটি কমলালেবু সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত একটি লেবু খান। কারণ ভিটামিন ‘সি’ প্রতিদিন আমাদের প্রয়োজন হয়। আর ভিটামিন ‘সি’ দেহে জমা থাকে না। তাই নিয়মিত এই ফল খাওয়া ভীষণ জরুরি। কমলালেবু কিনতে সমর্থ না হলে ভাতের সঙ্গে লেবুও আপনাকে দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ডায়াবেটিসের রোগীরা মিষ্টির পরিবর্তে তুলনামূলকভাবে টক লেবু খাবেন বেশি করে।
জিহ্বায় ঘা, ঠোঁটের কোনায় ঘাজনিত (জ্বর হওয়ার পর অনেকের ঠোঁটের কোনায় ঘা হয়) সমস্যা দূর করবে এই লেবু। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এর ভূমিকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো ঘা, কাটা, সেলাইজনিত ত্বককে দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘সি’। তাই যেকোনো অপারেশনের পর খান কমলালেবু।
চোখের পাতায় ঘা, চোখ ওঠা ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগগুলো দূর করার জন্য দরকার ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’। যা রয়েছে কমলালেবুতে। বৃদ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী নারী, মাতৃদুগ্ধদানকারী মহিলার জন্য এই ফল অপরিহার্য। তবে হজম করতে না পারলে প্রতিদিন খাবেন না। প্রতি তিন দিনে একটি কমলালেবু খাবেন। আর অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে খাওয়াই ভালো। ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবেন না।

গ্রন্থনা: ডা. ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৬, ২০১২

0 comments:

Post a Comment